এই প্রবন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে কার লাভ ও কার ক্ষতি তা নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। চলমান ঘটনাবলী বিবেচনায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে দুই দেশের ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থরক্ষাই এই সফরের উদ্দেশ্য বলে মনে হচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছে ও স্বার্থের প্রতিফলন এখানে অনুপস্থিত। এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টেকসই উন্নয়ন ও পারস্পরিক বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা জরুরি। জনগণকে সাইডলাইনে রেখে বাংলাদেশ সরকারের সম্পর্ক উন্নয়নের পদক্ষেপ বিশেষ ব্যক্তির সম্পদ বাড়াতে পারে, ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতা ধরে রাখা নিশ্চিত করতে পারে, কিন্তু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও পারষ্পরিক সম্মান ফিরিয়ে আনতে পারবেনা।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে আলোচনার কমতি নেই। কেউ এই সফরকে সফল হিসেবে তুলে ধরে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন, কেউ ব্যর্থ বলছেন, আবার অনেকেই প্রধানমন্ত্রীকে এয়ারপোর্টে কে অভ্যর্থনা জানালেন সেটা নিয়ে আলোচনা করছেন। এই সমালোচনা-আলোচনার মধ্যে কিছু বিষয় কম গুরুত্ব পাচ্ছে, সেসব দিকে দৃষ্টি দেয়াই এই লেখার উদ্দেশ্য। এই সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কার লাভ আর কার ক্ষতি হলো, বাংলাদেশের জনগণের কতটুকু স্বার্থ প্রতিফলিত হলো তা আলোচনা করা হবে।
এই সফরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই সমঝোতাগুলো অভিন্ন নদী কুশিয়ারা থেকে পানি প্রত্যাহার, বাংলাদেশি রেলকর্মীদের প্রশিক্ষণ ও বাংলাদেশকে আইটি সহযোগিতা প্রদান, বাংলাদেশের বিচারিক কর্মকর্তাদের ভারতে প্রশিক্ষণ, দুই দেশের রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা সমঝোতা, প্রসার ভারতী ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের মধ্যে সম্প্রচার সহযোগিতা, ও মহাকাশ প্রযুক্তিতে সহযোগিতা বিষয়ক।
কুশিয়ারা নদী সংক্রান্ত সমঝোতা ছাড়া বাকি সবগুলোই টেকনিক্যাল বিষয়, যা দুই দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানরাই করতে পারতেন। এসব প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি সহযোগিতা শুধু ভারত থেকেই কেন নিতে হবে বা ভারতে হলে আমরা কি ধরণের তুলনামূলক সুবিধা পাব সেটা নিয়ে আলোচনা জরুরি। কুশিয়ারা নদীর পানি সম্পর্কে এতদিন ধরে ভারত যে আপত্তি জানিয়ে আসছিল তাও প্রশ্নবিদ্ধ। কুশিয়ারার একটি খালে বাংলাদেশ পানি নেওয়ার জন্য পাম্প বসালে ভারত আপত্তি তুলে এবং কাজ বন্ধ থাকে। অথচ এর আগে একই ধরণের সমস্যায় ফেনী নদীর পানি নিয়ে বাংলাদেশের আপত্তি সত্ত্বেও চুক্তি হওয়ার আগেও পানি নেওয়া বন্ধ করেনি ভারত। এ যেন দুই দেশের জন্য দুই নীতি। আর এ ধরণের অসম পানিবন্টন ব্যবস্থার প্রতিবাদ না করে রাষ্ট্রীয় সফরের মাধ্যমে ঘটা করে সমঝোতা করাই যেন আমাদের লক্ষ্য!
কুশিয়ারা নদী সংক্রান্ত সমঝোতা ছাড়া বাকি সবগুলোই টেকনিক্যাল বিষয়, যা দুই দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানরাই করতে পারতেন। এসব প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি সহযোগিতা শুধু ভারত থেকেই কেন নিতে হবে বা ভারতে হলে আমরা কি ধরণের তুলনামূলক সুবিধা পাব সেটা নিয়ে আলোচনা জরুরি। কুশিয়ারা নদীর পানি সম্পর্কে এতদিন ধরে ভারত যে আপত্তি জানিয়ে আসছিল তাও প্রশ্নবিদ্ধ।
তবে এই দুই দেশের মধ্যে অসম ব্যবস্থা তো নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশের সরকার প্রধানও ভারতকে কতটুকু উজাড় করে দিয়েছেন তা বলতে দ্বিধা করেন না। আর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তো রাখঢাক না করে আবার ক্ষমতায় আসার বন্দোবস্তে ভারতের উপর নির্ভরশীলতার কথা বলে অসুবিধাজনক পরিস্থিতি তৈরি করে নজিরবিহীনভাবে বাদ পড়েছেন এই সফর থেকে। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অসম ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে দুই দেশের মিডিয়া ও সুশীল সমাজের ভূমিকাও কম না। শেখ হাসিনার সফরকালে ভারতের মিডিয়ার কাভারেজ বিশ্লেষণ করলে এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় জয়দ্বীপ সাইকিয়া মৌলবাদ ও ভারতীয় বিদ্রোহীদের দমনে শেখ হাসিনার ভূমিকার কথা বলেছেন (১), সুবিমল ব্যানার্জি লিখেছেন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উন্নত যোগাযোগ দুই দেশের জনগণকেও কাছে নিয়ে আসবে। (২) ফার্স্ট পোস্টে অভিজিৎ মজুমদার বাংলাদেশে ভারতের ভাবমূর্তি উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক সহযোগিতার উপর জোর দিয়েছেন। ডেকান হেরাল্ড পত্রিকায় অনির্বাণ ভৌমিক ভারতের সাথে সুসম্পর্কের জন্য আওয়ামী লীগের সমালোচনা হয়, তাই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাফল্যের জন্য বাড়তি কিছু সাহায্যের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন। (৩)
দুঃখজনকভাবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও সুশীল সমাজ এখনো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন রাজনীতিকে পুরনো দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েই দেখেন। জনগণের সাথে বোঝাপড়ার বদলে, দুই দেশের বন্ধুত্বমূলক সম্পর্ক তৈরির বদলে আধিপত্যের দৃষ্টিভঙ্গিটিই এখানে প্রধান। এখনো মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ দমনের অজুহাত তুলে শেখ হাসিনার প্রতি ভারতের সমর্থন বাড়ানোর কথা বলে তারা এটা স্পষ্ট করছেন যে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে শেখ হাসিনার সরকারের অবস্থান সম্পর্কে হয় তারা জানেন না, অথবা জানলেও তা গুরুত্ব দেননা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমান সরকার যে নিপীড়নের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া টিকে আছেন, তা নিয়ে কোনো কথা না তুললে সম্পর্ক তৈরি হবে সরকারের সাথে সরকারের, সেখানে জনগণের কোনো অবস্থান থাকবে না। জনগণকে ধর্তব্যে না নিলে দুই দেশের সম্পর্কও কখনো টেকসই হবে না। জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন কোনো সরকারকে সমর্থন দেওয়া এবং সেই সরকারের আবার ক্ষমতা দখলের বন্দোবস্তে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানোর পর বাংলাদেশে ভারত বিরোধিতা কেন বাড়ছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় নির্বুদ্ধতা, না হয় শঠতা।
এখনো মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ দমনের অজুহাত তুলে শেখ হাসিনার প্রতি ভারতের সমর্থন বাড়ানোর কথা বলে তারা এটা স্পষ্ট করছেন যে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে শেখ হাসিনার সরকারের অবস্থান সম্পর্কে হয় তারা জানেন না, অথবা জানলেও তা গুরুত্ব দেননা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমান সরকার যে নিপীড়নের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া টিকে আছেন, তা নিয়ে কোনো কথা না তুললে সম্পর্ক তৈরি হবে সরকারের সাথে সরকারের, সেখানে জনগণের কোনো অবস্থান থাকবে না। জনগণকে ধর্তব্যে না নিলে দুই দেশের সম্পর্কও কখনো টেকসই হবে না। জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন কোনো সরকারকে সমর্থন দেওয়া এবং সেই সরকারের আবার ক্ষমতা দখলের বন্দোবস্তে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানোর পর বাংলাদেশে ভারত বিরোধিতা কেন বাড়ছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় নির্বুদ্ধতা, না হয় শঠতা।
আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও কূটনীতিতেও দুই দেশের সম্পর্কে এখন কেবল সরকার নিয়ামক নয়। রাষ্ট্রের সাথে রাষ্ট্রের সম্পর্ক তৈরিতে জনগণের সাথে জনগণের সম্পর্ক তৈরি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে যতই উন্নয়নের আর প্রশংসার ফুলঝুরি উড়ুক, যতক্ষণ না পর্যন্ত সেখানে জনগণের ইচ্ছে ও স্বার্থের প্রতিফলন না ঘটবে, ততক্ষণ তা আরো অবিশ্বাস, দ্বিধা, ও সন্দেহের জন্ম দিবে।
এই দ্বিধা আর সন্দেহ তৈরিতে একটি বড় ভূমিকা রাখছে রাষ্ট্রীয় সম্পর্কের করপোরোটাইজেশন। নির্দিষ্ট করে বললে প্রশ্ন তুলতে হয় বিশ্বের শীর্ষ তৃতীয় ধনী ভারতের গৌতম আদানির সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে। গৌতম আদানি পরিচিত "মোদির রকফেলার" নামে। এই আদানির সাথে বাংলাদেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনার যে সাক্ষাৎ, তা নিয়ে আলোচনা জরুরি।
প্রথম আলোর ৮ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় আদানি বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগের আগ্রহের কথা জানান। জ্বালানি খাতের সাথে সাথে বাংলাদেশের নৌ পরিবহন, উন্নত প্রযুক্তির জ্বালানি এবং সেবা খাতে বড় বিনিয়োগ করতে চান আদানি।(৪) বাংলাদেশের সাথে বর্তমান কয়লাভিত্তিক জ্বালানির যে বিনিয়োগটি আদানির রয়েছে সেটি কেমন? এই বিনিয়োগের শর্ত অনুযায়ি, শুধু ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে বাংলাদেশ আদানির মালিকানাধীন কোম্পানি "গোড্ডা" কে দিবে ১১.০১ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে তিনটি পদ্মা সেতু, নয়টি কর্ণফুলি নদীর টানেল, এবং চারটি মেট্রোরেল প্রজেক্ট বানানো যায়। (৫) অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ টিম বাকলে ও সাইমন নিকোলাস এর গবেষণা অনুযায়ী, আদানি গাড্ডার সাথে বাংলাদেশের এই চুক্তি ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল।(৬) অস্ট্রেলিয়ায় আদানি মালিকানার কারমাইকেল কয়লা প্রকল্প যখন অলাভজনক হয়ে উঠেছিল তখন বাংলাদেশের সাথে এই চুক্তি আদানিকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করে। অর্থাৎ, অস্ট্রেলিয়া থেকে আদানির কয়লা আসবে ভারতে, সেখান থেকে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের মতো একটি দরিদ্র দেশের রক্ত আর ঘামে ভেজা টাকা ব্যয় করা হবে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের একজনের ব্যবসা সফল করার উদ্দেশ্যে। বাকলে ও নিকোলাস এর গবেষণা অনুযায়ী, এই বিপুল অর্থ খরচের পরও এই ব্যয়বহুল প্রকল্প বাংলাদেশের দারিদ্র বিমোচনে সহয়তা করবে না, বরং আরো দারিদ্র ডেকে আনবে।(৭) ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদানির মতো ব্যবসায়ীর উত্থান ও দুর্নীতির মাধ্যমে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি লাভবান হচ্ছে। বাংলাদেশ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলংকায় কাজ পেতে সহযোগিতা করে বিজেপি সরকার আদানির দুর্নীতির ক্ষেত্র বাড়িয়ে দিয়েছে।(৮) আদানির জ্বালানী খাতে বিতর্কিত বিনিয়োগ কিভাবে তিনটি দেশকে প্রভাবিত করছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনেও। (৯)
এই বিনিয়োগের শর্ত অনুযায়ি, শুধু ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে বাংলাদেশ আদানির মালিকানাধীন কোম্পানি "গোড্ডা" কে দিবে ১১.০১ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে তিনটি পদ্মা সেতু, নয়টি কর্ণফুলি নদীর টানেল, এবং চারটি মেট্রোরেল প্রজেক্ট বানানো যায়। (৫) অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ টিম বাকলে ও সাইমন নিকোলাস এর গবেষণা অনুযায়ী, আদানি গাড্ডার সাথে বাংলাদেশের এই চুক্তি ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল।
পররাষ্ট্রের ক্ষমতা পরিবর্তন ও নিজের পছন্দের সরকারকে ক্ষমতায় ধরে রাখায় করপোরেট শক্তির প্রভাব ইতিহাসে নতুন নয়। ল্যাটিন আমেরিকায় বেশ কয়েকটি দেশে করপোরেট স্বার্থ রক্ষায় ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে, সামরিক ক্যু হয়েছে। জনগণের স্বার্থ ও দেশের স্বার্থের কথা এখানে বিবেচিত হয়নি। ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে এ ধরণের করপোরেট শক্তি ও তাদের দুর্নীতির অভিলাষ কি ধরণের ভূমিকা রাখছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে কার লাভ ও কার ক্ষতি তা নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গেলে আমরা তাই দেখব রাষ্ট্রীয় স্বার্থ রক্ষা এই সফরে উদ্দেশ্য নয়। বরং চলমান ঘটনাবলী বিবেচনায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে দুই দেশের ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থরক্ষাই এই সফরের উদ্দেশ্য বলে মনে হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে কার লাভ ও কার ক্ষতি তা নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গেলে আমরা তাই দেখব রাষ্ট্রীয় স্বার্থ রক্ষা এই সফরে উদ্দেশ্য নয়। বরং চলমান ঘটনাবলী বিবেচনায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে দুই দেশের ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থরক্ষাই এই সফরের উদ্দেশ্য বলে মনে হচ্ছে।
বিশেষ করে বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছে ও স্বার্থের প্রতিফলন এখানে অনুপস্থিত। এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টেকসই উন্নয়ন ও পারস্পরিক বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা জরুরি। জনগণকে সাইডলাইনে রেখে বাংলাদেশ সরকারের সম্পর্ক উন্নয়নের পদক্ষেপ বিশেষ ব্যক্তির সম্পদ বাড়াতে পারে, ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতা ধরে রাখা নিশ্চিত করতে পারে, কিন্তু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও পারষ্পরিক সম্মান ফিরিয়ে আনতে পারবে না।
৩) এ বিষয়ে আরো দেখুন
https://www.prothomalo.com/opinion/column/uitlykirnw
৬) https://ieefa.org/wp-content/uploads/2018/04/Adani-Godda-Power-Project-April_2018.pdf
৭) প্রাগুক্ত