শুক্রবার ৬ই বৈশাখ ১৪৩১ Friday 19th April 2024

শুক্রবার ৬ই বৈশাখ ১৪৩১

Friday 19th April 2024

সংস্কৃতি চলচ্চিত্র-নাটক

মার্লন ব্র্যান্ডোর হয়ে অস্কার প্রত্যাখানকারী অভিনয়শিল্পী ও সমাজকর্মী সাচিন লিটলফেদার মৃত্যুবরণ করেছেন

২০২২-১০-০৫

দৃকনিউজ প্রতিবেদন

১৯৭৩ সালের অস্কারে সাচিন লিটলফেদার। ছবি: দ্য গার্ডিয়ান

 

 

দ্য গডফাদার চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার ভূমিকার জন্য মার্লন ব্র্যান্ডোর পাওয়া অস্কার প্রত্যাখ্যান করার জন্য বিখ্যাত নেটিভ আমেরিকান সমাজকর্মী সাচিন লিটলফেদার ৭৫ বছর বয়সে মারা গেছেন। রবিবার রাতে এক টুইটের মাধ্যমে দ্য একাডেমি অব মোশন পিকচার্স এ ঘোষণা দেয়। নর্থ ক্যারোলিনার নোভাটো শহরে নিজের বাড়িতে প্রিয়জন পরিবেষ্টি হয়ে মারা যান তিনি। লিটলফেদার স্তন ক্যান্সারে ভুগছিলেন। রেড ইন্ডিয়ান নামে পরিচিত আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে চলচ্চিত্রে অবমাননকর ভাব উপস্থাপনের প্রতিবাদের সাথে সাচিনের নাম যুক্ত হয়ে আছে, আছে ব্র্যান্ডোর নাম। এবং সে সময় নিজেদের ভূমিকার জন্য একাডেমি অব মোশন পিকচার্স সম্প্রতি ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। 

 

লিটলফেদার হলিউডে তাঁর সেই ছোট বক্তৃতায় ভবিষ্যদ্বাণী হিসেবে বলেছিলেন: “আমি জানি ভবিষ্যতে একদিন আসবে যখন আমাদের আত্মা এবং এবং আমাদের অনুভূতিকে ভালোবাসা আর উদারতার সাথে গ্রহণ করা হবে।”

 

লিটলফেদার হলিউডে তাঁর সেই ছোট বক্তৃতায় ভবিষ্যদ্বাণী হিসেবে বলেছিলেন: “আমি জানি ভবিষ্যতে একদিন আসবে যখন আমাদের আত্মা এবং এবং আমাদের অনুভূতিকে ভালোবাসা আর উদারতার সাথে গ্রহণ করা হবে।”

 

১৯৭৩ সালে দ্য গডফাদার চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার ভূমিকার জন্য মার্লন ব্র্যান্ডো অস্কার পান, কিন্তু নেটিভ আমেরিকানদের অধিকারের সমর্থনে প্রতিবাদ করে তিনি অনুষ্ঠানটি বর্জন করেন। ব্র্যান্ডো আদিবাসী আমেরিকান অভিনয় শিল্পী ও অধিকারকর্মী লিটলফেদারকে প্রতিনিধি হিসেবে অস্কারে পাঠান। সেবছরের অস্কারের উপস্থাপক, হলিউডের কিংবদন্তিতুল্য অভিনেতা রজার মুর লিটলফেদারের হাতে অস্কার তুলে দিতে গেলে লিটলফেদার তা হাত দিয়ে একরকম ঠেলে দেন এবং জানান ব্র্যান্ডো অস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন। এর কারণ ব্যাখ্যা করে লিটলফেদার একটি ছোট বক্তৃতাও দেন। তিনি জানান, ব্র্যান্ডো এই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন অংশত ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ও টেলিভিশন আমেরিকান ইন্ডিয়ানদের যেভাবে উপস্থাপন করে, তার প্রতিবাদ হিসেবে। এরপর ঘটনা অনেক দূর গড়ায়।

 

হলিউডের জনপ্রিয় ওয়েস্টার্ন ধারায় আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে অবমানকার উপস্থাপন ছিল রেওয়াজ। আদিবাসীদের ইতিহাস, সংস্কৃতি, সংগ্রামকে সেখানে কোনভাবে ঠাঁই পেতো না। বরং নিজেদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ হয়ে পানিবিহনী অনুর্বর এলাকায় বাস করতে যাওয়া এই আদিবাসীদেরকেই ওয়েস্টার্ন চলচ্চিত্রে প্রদর্শন করা হতো রক্তপিপাসু, অসভ্য ও বর্বর জনগোষ্ঠী হিসেবে। ওয়েস্টার্ন ঘরানার এই চলচ্চিত্রগুলো খুবই ব্যবসাসফল ছিল বলে ব্র্যান্ডো ও লিটলফেদারের এই ভূমিকাটি হলিউড সহজভাবে গ্রহণ করেনি। দর্শকদের অনেকেই লিটলফেদারকে দুয়ো দেয়, কেউ কেউ তার সমর্থনে হাততালিও দেন। মার্কিন রাজনীতি ও হলিউডের ডানপন্থী ও রক্ষণশীল অংশ লিটলফেদারের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে,  ২৬ বছর বয়সী লিটলফেদারকে হলিউড থেকে একরকমের বহিষ্কার করা হয়।

 

লিটলফেদার পরে অভিযোগ করেন যে, বিখ্যাত হলিউড অভিনেতা জন ওয়েইন এই ঘটনায় উত্তেজিত প্রতিক্রিয়া দেখান। তিনি পেছন থেকে বারবার মঞ্চে উঠে লিটলফেদারকে আঘাত করতে উদ্যত হচ্ছিলেন। ৬জন নিরাপত্তাকর্মী তখন ওয়েইনকে আটকে রাখেন। ধারণা করা হয় যে, লিটলফেদারের কথায় ওয়েস্টার্ন চলচ্চিত্রের ক্যারিশম্যাটিক এই অভিনেতার আঁতে ঘা লেগেছিলো, কারণ আমেরিকান ইন্ডিয়ানদের যে ধরনের উপস্থাপনের কথা লিটলফেদার বলেছেন, ওয়েইন অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো সেই দোষেই দুষ্ট। অজস্র “দুষ্ট” রেড ইন্ডিয়ানকে জন ওয়েইন হলিউড চলচ্চিত্রে হত্যা করেছেন। ফলে সঙ্গত কারণেই ওয়েইন ক্ষুব্ধ হন।

 

আরেকজন বিখ্যাত অভিনেতা ও সেদিনের আরেক উপস্থাপক ক্লিন্ট ইস্টউড মঞ্চ থেকে বিদ্রূপাত্মক মন্তব্য করেন। কিন্তু লিটলফেদারের সাথে আরও অপমানজনক আচরণ করা হয় মঞ্চ থেকে নামার পর। হলিউডে প্রচলিত যে সব অঙ্গভঙ্গিতে আদিবাসীদের রক্তপিপাসু হিসেবে উপস্থাপন করা হতো, সেই অবমাননাকর আচরণগুলোর মুখোমুখি হন তিনি। কেউ তাঁর দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছিলেন হলিউডি ছবিতে দেখানো রেড ইন্ডিয়ান যুদ্ধহুঙ্কার, কেউ দেখাচ্ছিলেন কীভাবে আদিবাসীরা কুড়াল দিয়ে গলা কেটে নেয়। হলিউডের অনেক কলাকুশলী সেদিন লিটলফেদারের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করেন। এখানেই শেষ নয়, ঐ অনুষ্ঠানের পর লিটলফেদারকে হলিউড অবাঞ্ছিতদের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করে।

 

উল্লেখ্য যে, ওই বছরই প্রথম অস্কার অনুষ্ঠানটি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল। ফলে এই ঘটনাটি তখনকার দিনে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এছাড়া অন্য একটি দিক দিয়েও লিটলফেদারের এই ভূমিটাটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেই প্রথমবারের মত অস্কারের মত আয়োজনের মঞ্চ থেকে রাজনৈতিক মত প্রকাশ করা হয়েছিল। সেদিক দিয়েও লিটলফেদারের ভূমিকা অনন্য এখনকার দিনে অধিকারকর্মীরা এই কাজটি নিয়মিতই করে থাকেন।

 

অবশেষে এ বছর, ২০০২ সালের আগস্টে দ্য একাডেমি অব মোশন পিকচার্স আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস লিটলফেদারের প্রতি সেদিনের আচরণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছে। প্রতিষ্ঠানটির যে বিভাগ অস্কার তদারকি করে, সেটি তাঁর সেই বক্তব্যকে বর্ণনা করে “শ্রদ্ধাশীলতার প্রয়োজনীয়তা এবং মানুষের মর্যাদার গুরুত্ব মনে করিয়ে দেওয়ার মতো শক্তিশালী একটি বক্তব্য” হিসেবে।

 

অবশেষে এ বছর, ২০০২ সালের আগস্টে দ্য একাডেমি অব মোশন পিকচার্স আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস লিটলফেদারের প্রতি সেদিনের আচরণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছে। প্রতিষ্ঠানটির যে বিভাগ অস্কার তদারকি করে, সেটি তাঁর সেই বক্তব্যকে বর্ণনা করে “শ্রদ্ধাশীলতার প্রয়োজনীয়তা এবং মানুষের মর্যাদার গুরুত্ব মনে করিয়ে দেওয়ার মতো শক্তিশালী একটি বক্তব্য” হিসেবে। আনুষ্ঠানিক এই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “এই বক্তব্যের কারণে যে হয়রানি আপনাকে সহ্য করতে হয়েছে তা অন্যায় ও অযৌক্তিক। যে মানসিক চাপের বোঝা নিয়ে আপনাকে জীবন কাটাতে হয়েছে এবং আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার ক্যারিয়ারের যে লোকসান হয়েছে তার কোনো ক্ষতিপূরণ হয় না। যে সাহস আপনি দেখিয়েছেন, দীর্ঘ সময় ধরে তা অবহেলিত হয়েছে। এর জন্য আমরা গভীরভাবে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি এবং আন্তরিক সহমর্মিতা জানাচ্ছি।" হলিউডের এই ক্ষমা প্রার্থনার উত্তরে  লিটলফেদার লেখেন, “অ্যাকাডেমির ক্ষমাপ্রার্থনার বিষয়ে আমি বলবো, আমরা আদিবাসী ইন্ডিয়ানরা খুবই ধৈর্যশীল। ঐ ঘটনার পর মাত্র ৫০ বছর কেটেছে! এই বিষয়ে আমাদের রসিকতার বোধকে সবসময় বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন। এটা আমাদের বেঁচে থাকার পাথেয়।”

 

১৯৭৩ সালে সাচিন লিটলফেদার। ছবি: দ্য গার্ডিয়ান 

 

 

দ্য গার্ডিয়ানকে ২০২১ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শৈশবের স্মৃতিচারণ করেন সাচিন লিটলফেদার। তাঁর জন্ম ১৯৪৬ সালে। তাঁর মা ছিলেন শ্বেতাঙ্গ, আর বাবা ইউকাই জনগোষ্ঠীর মানুষ। দুজনের কেউই মানসিকভাবে সুস্থ না হওয়ায় তাঁদের পক্ষে লিটলফেদারের যথাযথ লালনপালন সম্ভব ছিলো না। তিন বছর বয়সে তাঁর নানা-নানী তাঁকে নিজেদের কাছে নিয়ে যান। মায়ের মার খাওয়া আটকাতে ছোটবেলায় বাবাকে ঝাড়ু দিয়ে পেটানোর কথা মনে করেন লিটলফেদার। তিনি বলেন,  “সেই সময়েই আসলে আমি একজন সমাজকর্মী হয়ে উঠি।”

 

বাবার মৃত্যুর পর ১৭ বছর বয়সে অ্যারিজোনার বিভিন্ন সংরক্ষিত এলাকায় যাতায়াত শুরু করেন লিটলফেদার। তাঁর ভাষ্যমতে, “আমি এ সময়ে সত্যিই অন্যান্য নাগরিক ইন্ডিয়ানদের সঙ্গে ব্যাপকভাবে মিশতে শুরু করি এবং আমাদের প্রথা ও ঐতিহ্য ফিরে পেতে শুরু করি। বিভিন্ন সংরক্ষিত এলাকা থেকে আসা বৃদ্ধরা আমাদের তরুণদেরকে শেখাতে থাকেন কীভাবে আবারও ইন্ডিয়ান হয়ে ওঠা যায়। চমৎকার ব্যাপার ছিলো সেটা।” এই সাক্ষাৎকার যখন নেওয়া হচ্ছে, লিটলফেদার নিজেই তখন তরুণ নেটিভ আমেরিকানদের সাংস্কৃতিক নানা জ্ঞানে শিক্ষিত করছেন।

 

বাবার মৃত্যুর পর ১৭ বছর বয়সে অ্যারিজোনার বিভিন্ন সংরক্ষিত এলাকায় যাতায়াত শুরু করেন লিটলফেদার। তাঁর ভাষ্যমতে, “আমি এ সময়ে সত্যিই অন্যান্য নাগরিক ইন্ডিয়ানদের সঙ্গে ব্যাপকভাবে মিশতে শুরু করি এবং আমাদের প্রথা ও ঐতিহ্য ফিরে পেতে শুরু করি। বিভিন্ন সংরক্ষিত এলাকা থেকে আসা বৃদ্ধরা আমাদের তরুণদেরকে শেখাতে থাকেন কীভাবে আবারও ইন্ডিয়ান হয়ে ওঠা যায়। চমৎকার ব্যাপার ছিলো সেটা।” এই সাক্ষাৎকার যখন নেওয়া হচ্ছে, লিটলফেদার নিজেই তখন তরুণ নেটিভ আমেরিকানদের সাংস্কৃতিক নানা জ্ঞানে শিক্ষিত করছেন।

 

লিটলফেদারের বয়স যখন বিশের কোঠার শুরুর দিকে, তখন তিনি কাজ করতেন স্যান ফ্র্যান্সিসকো রেডিও স্টেশনে। নেটিভ আমেরিকানদের জন্য একটি স্থানীয় ইতিবাচক পদক্ষেপ কমিটি গড়ে তুলতে কাজ করছিলেন তিনি, এবং পর্দায় ও খেলার মাঠে উপস্থাপন নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। তিনি যখন শুনলেন মার্লন ব্র্যান্ডো নেটিভ আমেরিকানদের অধিকার নিয়ে কথা বলছেন, তখন তিনি ব্র্যান্ডোকে একটি চিঠি লেখেন। এর কয়েক মাস পর ব্র্যান্ডো তাঁকে ফোন করেন এবং তাঁরা ভালো বন্ধুতে পরিণত হন।

 

ঐ একই সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময়ে লিটলফেদার জানান যে, তিনি স্তন ক্যান্সারের ফলে অত্যন্ত অসুস্থ। তিনি বলেন, “আমি কিছুদিন ধরে কেমোথেরাপি নিচ্ছি, সাথে রোজ এন্টিবায়োটিক। যার কারণে আমার স্মৃতিশক্তি আর আগের মতো ভালো নেই। আমি অত্যন্ত ক্লান্ত, কারণ ক্যান্সার আসলে একটা সারাদিনের চাকরি। এর জন্য সিটি স্ক্যান আর এমআরআই করাতে হয়, রক্ত পরীক্ষা করাতে হয়, হাসপাতালে যেতে হয়, কেমোথেরাপি নিতে হয়, সংক্রমণ যাতে না হয় সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হয় ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনি যদি অলস হয়ে থাকেন, তাহলে ক্যান্সারের চাকরি না নেওয়াই ভালো।”

 

মৃত্যুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি আরেকটা জায়গায় যাচ্ছি। আমার পূর্বপুরুষদের দুনিয়ায় যাচ্ছি আমি। তোমাদেরকে বিদায় জানাচ্ছি আমি… আমার নিজের মতো হওয়ার অধিকার আমি অর্জন করে নিয়েছি।"

 

লিটলফেদার ও ব্র্যান্ডোসহ সংখ্যালঘু যে সংস্কৃতিকর্মীরা হলিউডের শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী মনোভঙ্গির বিরুদ্ধে কাজ করেছেন, সেটা তখনকার সময়ে তাদের অনেকেরই পেশাগত জীবনের ক্ষতিসাধন করলেও দীর্ঘমেয়াদে এর কিছু সুফল পাওয়া যায়।  ৭০ দশকের কৃষ্ণাঙ্গ অধিকার আন্দোলন, ভিয়েতনাম যুদ্ধ বিরোধী আন্দোলন, নাগরিক অধিকার আন্দোলনের শক্তিশালী ধারাগুলো যেমন সংস্কৃতিকর্মীদের প্রভাবিত করেছিল, তেমনি বিপরীত দিক দিয়ে এই প্রতিবাদগুলোও নাগরিক অধিকারের আন্দোলনগুলোকে বিপুলভাবেই অনুপ্রাণিত করেছিল। মার্কিন সমাজে ও সংস্কৃতিতে বর্ণবাদ এখনও অনেক গভীর হলেও বর্ণবাদ বিরোধী বেশ কিছু আইন প্রথা এবং চলচ্চিত্রে উপস্থাপনে সতর্কতা এই সংগ্রামেরই দূরবর্তী ফল।

 

Your Comment