সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া চা শ্রমিক মায়ের সন্তান সন্তোষ রবিদাস অঞ্জনের একটি পোস্ট সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ফেসবুক পোস্টে অঞ্জন মানুষকে তার নিজের জীবনের সংগ্রামের গল্প শুনিয়েছেন। অঞ্জনের এই জীবন কাহিনী পড়লেই যে কেউ বুঝতে পারবেন কেন শ্রমিকের মজুরি অন্তত তিনশ টাকা হওয়াটা দরকার। অঞ্জন সেই লেখায় তার চা শ্রমিক মাসহ সকল চা শ্রমিকের নূন্যতম দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবি জানিয়েছেন। অঞ্জনের সে দাবি এখনো আদায় না হলেও তার জন্য একটা চাকরির ব্যবস্থা করেছেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক। ভালো একটা চাকুরি পাওয়ার আগ পর্যন্ত স্থানীয় একটি স্কুলে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবেন তিনি। এতে অন্তত অঞ্জন আর তার মায়ের পরিস্থিতির খানিকটা উত্তরণ ঘটবে।
৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে অটল চা শ্রমিকরা। আলোকচিত্র: সুমন কান্তি পাল
চা শ্রমিকের সন্তান হিসেবে একটা চা বাগান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডোর পর্যন্ত আসতে অঞ্জনকে কী পরিমাণ প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়েছে, সেই বিবরণ সবারই পাঠ করা উচিত। তবে চা শ্রমিকদের খুব কম সন্তানই অঞ্জনের মত অতদূর পৌঁছাতে পেরেছেন। অভাবের তাড়নায় কিংবা বাগানের দেয়া ছোট্ট ওই বসতবাড়িটা ধরে রাখতে তাদেরকে চা বাগানে ঢুকতে হয় কম বয়েসেই। সেই বিবেচনায় অঞ্জন রীতিমত সৌভাগ্যবান। কিন্তু অঞ্জনের এই পরিস্থিতিটা ব্যতিক্রম না হয়ে যেন সেখানে কাজ করা সকল শিশুই আগ্রহ ও যোগ্যতা অনুযায়ী উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায়, আর শ্রমিকদের কাজটাও যারা করবেন, তারা যেন দাসের পর্যায়ে না থাকে, সেটা তো একটা গণতান্ত্রিক সমাজের ন্যূনতম ভিত্তি হওয়া দরকার।
বংশপম্পরায় চলে আসা চা শ্রমিকের জীবন থেকে ‘মুক্তি’ লাভের ক্ষেত্রে অঞ্জনের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া প্রধানতম অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করেছে। যুক্তিগতভাবেই আমরা বুঝতে পারি যে, চা শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়ন কিংবা অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই এবং চা বাগানের মালিক কিংবা দেশের সরকার পক্ষ, কারোরই এই যুক্তি সম্পর্কে অবগত না থাকার কারণ নেই। কিন্তু অত্যন্ত লজ্জাজনকভাবে আমরা দেখতে পাচ্ছি, চা শ্রমিক ও তাদের সন্তানেরা যেনো শিক্ষার আলো বিকশিত হতে না পারে তার সকল প্রস্তুতি সর্বাত্মকভাবে কায়েম করে রাখা হয়েছে চা বাগানগুলোতে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে চা বাগানের সংখ্যা ১৬৭টি এবং শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ছয় লাখের কাছাকাছি। শ্রমিকদের পরিবারের সদস্য মিলিয়ে চা বাগানে বসবাসরত জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ; যার মধ্যে শিশু-কিশোরের সংখ্যা প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ। অর্থ্যাৎ বাগানপ্রতি গড়ে প্রায় এক হাজারের বেশি চা শ্রমিকের সন্তান রয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ২০১৬ সালের একটি প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে একটি বাগানে সর্বোচ্চ একটি মাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে এবং এসব বিদ্যালয়ে শত শত শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র এক জন শিক্ষক বরাদ্দ। অনেক বাগানে কিংবা সমগ্র ইউনিয়নে নেই কোন প্রাথমিক বিদ্যালয়। অর্থ্যাৎ পড়াশোনার যে সবচেয়ে প্রাথমিক ধাপ, সেই ধাপটাই ঠিক নেই।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পার হয়ে কোন কোন শিক্ষার্থী যদি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি হতে চান সেখানে আরও বড় বাধা। চা শ্রমিকের সন্তানদের জন্য অন্তত একটি হাই স্কুল কিংবা কলেজ আছে এমন কোন চা বাগান বাংলাদেশে আছে কি-না তা জানা নেই। বেশিরভাগ চা বাগান থেকে সবচেয়ে নিকটস্থ হাই স্কুল বা কলেজের দূরত্বও প্রায় পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার। এই দূরত্বের কারণে নারী শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিকে শিক্ষা গ্রহণের হার প্রায় শূণ্য বলা যায়। ছেলে শিক্ষার্থীরদের মধ্যও সে শিক্ষা গ্রহণকারীর সংখ্যা খুবই সামান্য। অথচ মালিক পক্ষ সঙ্গতকারণেই চাইবে না চা শ্রমিকদের শিশুরা শিক্ষা পাক। কেননা তখন তাদেরকে বাজার থেকে শ্রমিক সংগ্রহ করতে হবে, যাদেরকে দিনে অন্তত ৬০০-৮০০ টাকা মজুরি দিতে হবে, যেটা অধিকাংশ কৃষি শ্রমিকের মজুরি। মালিকরা না চাইলেও সরকারের দিক থেকে চা শ্রমিকের সন্তানদের জন্য আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিংবা দায়িত্ব ছিল মালিকদের এই বন্দোবস্ত করতে বাধ্য করা। কিন্তু তার কোন লক্ষণ কোনদিন দেখা যায়নি।
যে কোন চা শ্রমিকের সাথে কথা বললেই দেখা যাবে শিক্ষার গুরুত্ব তারা বোঝেন। প্রাণপণে চেষ্টা করেন খেয়ে না খেয়ে হলেও সন্তানদের শিক্ষার আলো দিতে। এছাড়া বাগানের দাসত্ব থেকে তার মুক্তি নেই। কিন্তু এই পরিমাণ প্রতিবন্ধকতা পার করেও যদি কোন শিক্ষার্থী তার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান, তবে যে পরিমাণ অর্থের যোগান প্রয়োজন হয় তা জোগাড় করা চা শ্রমিকের পরিবারের জন্য অসম্ভব। কেননা বর্তমানে দৈনিক ২৩-২৫ কেজি চা পাতা সংগ্রহ সাপেক্ষে বাংলাদেশে একজন চা শ্রমিকের দৈনিক মজুরী ১২০ টাকা, মাসে মাত্র ৩৬০০ টাকা। এই টাকায় পরিবারের সকলের খাবারের জোগান, চিকিৎসা ও পোষাক-আষাকের ব্যবস্থা করাই সম্ভব হয় না আর শিক্ষা তো আরও অনেক দূরের বিষয়।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার তথ্য বলছে, বাংলাদেশের চা বাগান মালিকেরা শ্রমিকের জন্য ২১৫ বর্গ ফুটের ঘর নির্মাণের সুযোগ দেয়। ছোট্ট এই ঘরের ভেতর একজন শ্রমিককে তার পুরো পরিবার নিয়ে থাকতে হয়। যেখানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কিংবা পড়াশোনার তেমন কোন পরিবেশই থাকে না।
অনেকেই প্রশ্ন করেন, চা বাগানে যদি দাসত্বই থাকে, তাহলে তারা কেন বাগান ছেড়ে অন্য কোথাও কাজ নেয় না। সেই প্রশ্নের উত্তর এটাই: কম মজুরি আর বাসস্থানের সঙ্কটের এই রকম সুচতুর একটা ফাঁদে তাদের ফেলে রাখায় হয়। আবার এতো অল্প মজুরি হওয়ার ফলে বাগানের বাইরে গিয়ে কোন আবাস্থল গড়ারও সুযোগ থাকে না। চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ামাত্রই বাংলাদেশের শ্রম আইনের ৩২ ধারা শ্রমিকের ঘর কেড়ে নেয়ার জন্য প্রস্তুত। তাই নিরুপায় হয়ে অস্তিত্বের প্রয়োজনে সন্তানদের চা শ্রমিক হিসেবে বাগানে পাঠাতে হয়, যেন অন্তত মাথা গোজার ঠাঁইটা থাকে।
চা বাগানের মানুষেরা যেন বংশ পরম্পরায় দাসত্ব মেনে নেয় সেই রকম ব্যবস্থা বাংলাদেশের আইন ব্যবস্থার মধ্যেও জারি করে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের শ্রম আইনের ৩২ নং ধারা অনুযায়ী, কোন শ্রমিক যদি তার চাকরি হারায় অথবা অবসর নেয় তাহলে দুই মাসের মধ্যে তার জন্য বরাদ্দকৃত বাসস্থান ছেড়ে দিতে হবে। শতাব্দী ধরে একইস্থানে থাকলেও শ্রমিকরা জায়গার কোন ধরনের মালিকানা পান না। অনেকেই প্রশ্ন করেন, চা বাগানে যদি দাসত্বই থাকে, তাহলে তারা কেন বাগান ছেড়ে অন্য কোথাও কাজ নেয় না। সেই প্রশ্নের উত্তর এটাই: কম মজুরি আর বাসস্থানের সঙ্কটের এই রকম সুচতুর একটা ফাঁদে তাদের ফেলে রাখায় হয়। আবার এতো অল্প মজুরি হওয়ার ফলে বাগানের বাইরে গিয়ে কোন আবাস্থল গড়ারও সুযোগ থাকে না। চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ামাত্রই বাংলাদেশের শ্রম আইনের ৩২ ধারা শ্রমিকের ঘর কেড়ে নেয়ার জন্য প্রস্তুত। তাই নিরুপায় হয়ে অস্তিত্বের প্রয়োজনে সন্তানদের চা শ্রমিক হিসেবে বাগানে পাঠাতে হয়, যেন অন্তত মাথা গোজার ঠাঁইটা থাকে।
শ্রম আইনের ৩২ ধারা দেশের সকল শ্রমিকের জন্য প্রযোজ্য হলেও বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী অবশেষ ২০২০ সালে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে একজন শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ৫০০-৫৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে; যা আবার চা শ্রমিকদের জন্য প্রযোজ্য নয়। বাস্তবে কিন্তু গোটা দেশেই কৃষি শ্রমিকের মজুরি এর চাইতে বেশি। আর চা বাগানের শ্রমিকরা রীতিমত দক্ষ শ্রমিক। কিন্তু কোন যুক্তিতে চা শ্রমিকদের জন্য অন্যান্য শ্রমিকদের চাইতেও কম টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে তা নিয়ে কোন ব্যাখ্যা সরকার কিংবা মালিক পক্ষের কেউই কোন দিন দেয়নি।
মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিংবা সরকারি চাকুরিতে চা বাগান থেকে উঠে আসা মানুষের পরিমাণ এত কম যে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসলে তা আলোচিত হয়। সংখ্যাটা এতো কম হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ যে মানসম্মত শিক্ষার অভাব, সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতিটি দেশের সরকারেরই দায়িত্ব অবহেলিত জনগোষ্ঠীকে বিশেষ বিশেষ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে সামনে টেনে তোলা। কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি চাকরির মতো জায়গায় এই জনগোষ্ঠীর জন্য তেমন কোন কোটার ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ‘চা-শ্রমিক কোটা’য় চারজন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা করার সুযোগ করা হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে, অন্য কোথাও তেমন সুযোগ নেই। অর্থ্যাৎ তাদের জীবন মান উন্নয়নের কোন ব্যবস্থাই করেনি সরকার।
প্রায় দেড়’শ বছর আগে ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন সময়ে চা শ্রমিকদের বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়েছে। ভারতের বিহার, ওড়িশা, মাদ্রাজ, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশ থেকে চা বাগানের কর্মীদের নিয়ে আসা হতো। তাদের বেশিরভাগ ছিল গরিব এবং দুর্বল, সাধারণত নিম্নবর্ণের হিন্দু বা দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। আড়কাঠি নামে পরিচিত দালালরা তাদের ভালো চাকরি এবং উন্নত জীবনের লোভ দেখিয়ে নিয়ে আসতো, কিন্তু এই প্রতিশ্রুতি কখনোই আর পূরণ করা হয়নি।
ইতিহাস বলছে, প্রায় দেড়’শ বছর আগে ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন সময়ে চা শ্রমিকদের বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়েছে। ভারতের বিহার, ওড়িশা, মাদ্রাজ, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশ থেকে চা বাগানের কর্মীদের নিয়ে আসা হতো। তাদের বেশিরভাগ ছিল গরিব এবং দুর্বল, সাধারণত নিম্নবর্ণের হিন্দু বা দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। আড়কাঠি নামে পরিচিত দালালরা তাদের ভালো চাকরি এবং উন্নত জীবনের লোভ দেখিয়ে নিয়ে আসতো, কিন্তু এই প্রতিশ্রুতি কখনোই আর পূরণ করা হয়নি।
প্রায় দেড়’শ বছর পরে এখনো চা বাগানে ভারতবর্ষের সেসব জাতিগোষ্ঠীর মানুষের প্রাধান্য দেখা যায়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের চা বাগানে প্রায় ৩৮টি জাতি গোষ্টীর উপস্থিতি সনাক্ত করা গিয়েছে। বংশপরম্পরায় ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গা থেকে মিথ্যা প্রলোভনে দেখি নিয়ে আসা চা শ্রমিকদের সন্তানরাই পরবর্তীকালে বংশপরম্পরায় চা শ্রমিক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন এবং অত্যন্ত সুচারুভাবে তাদেরকে শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে চা শ্রমিক হিসেবে জীবন কাটাতে বাধ্য করা হয়েছে; যা আজ পর্যন্ত চলমান রয়েছে।
প্রায় দুশ বছর আগে যেই শেকল চা শ্রমিকদের পূর্বপুরুষদের পরানো হয়েছিল সেই শেকলই যেনো এখনো বহন করছেন নিপীড়িত এসব শ্রমিক ও তাদের সন্তানেরা। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অর্থনীতিতে চা শ্রমিকরা বিপুল অবদান রাখলেও প্রতিদান হিসেবে রাষ্ট্রের কাছ থেকে বঞ্চনা, অবহেলা ও অবজ্ঞা ছাড়া কিছুই পাননা তারা। এমনকি নিজেদের জাতিগত স্বীকৃতিটুকুও মেলেনি তাদের। এই দুই শতকে ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রেরও জন্ম হয়েছে। বহু শাসকের পরিবর্তন ঘটেছে কিন্তু চা শ্রমিকদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘটেনি।
চা শ্রমিকদের মজুরি যেমন ৩০০ টাকা করাটা এই শ্রমিকদের জীবনকে ন্যূনতম মানবিক করার জন্য প্রয়োজন। তেমনি প্রয়োজন তাদের শিক্ষা ও চাকরির জন্য সুচিন্তিত কোটার ব্যবস্থা করা। প্রয়োজন চা বাগানগুলোকে নিয়ে একটি রাষ্ট্রীয় পর্ষদ গঠন করে চা বাগানগুলোকে দাসশ্রমের পর্যায় থেকে উত্তরিত করে একটা মানবিক শ্রম পরিবেশের বন্দোবস্ত করা।
আবু রায়হান খান
গণমাধ্যমকর্মী