দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে মানুষের অসন্তোষ বাড়ছে। মহিউদ্দিন রনি নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রেলওয়ের গোটা অব্যবস্থাপনার চিত্র নতুন করে সামনে এসেছে। জনগণের প্রতি জবাবদিহিতা নিশ্চিত না করলে অব্যবস্থাপনা দূর করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
রনির সাথে এরইমধ্যে সংহতি জানিয়ে অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। বিভিন্ন আর্ট পারফরমেন্সের মাধ্যমে প্রতিবাদ চলমান রেখেছেন তারা।
তবে প্রতিবাদ থামিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে নানা উপায়ে কর্তৃপক্ষ ভয় দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। বিশেষজ্ঞদের মতে দূর্নীতি ও অনিয়ম দূর করার চেষ্টা না করে উল্টো হয়রানি করে অপরাধ করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। রেলসেবার মান উন্নয়নে আইনের আশ্রয় নেয়ারও পরামর্শ তাদের।
মহিউদ্দিন রনির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দৃকনিউজ রেলওয়ের কর্তৃপক্ষের সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করলে কেউ মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
মহউদ্দিন রনির ছয় দফা দাবিঃ
১. টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সহজ ডট কম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করা ও হয়রানির ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া।
২.যথোপযুক্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ।
৩.অনলাইনে কোটায় টিকিট ব্লক করা বা বুক করা বন্ধ করা ও অনলাইন-অফলাইনে টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।
৪. যাত্রীচাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া।
৫.ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক-তত্ত্বাবধায়কসহ অন্য দায়িত্বশীলদের কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিক নজরদারি ও শক্তিশালী তথ্য সরবরাহব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেলসেবার মান বাড়ানো।
৬.ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনা মূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।