ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে টেকনাফের শাহপরির দ্বীপের জাইলা পাড়ার জীবন। মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা এই পাড়ার প্রায় প্রতিটি ঘরই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোখার আঘাতে। কারো কারো সম্পূর্ণ ঘর হয়েছে বিধ্বস্ত। ঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙ্গে যাওয়া ঘর-বাড়ি মেরামতের কাজ চলছে জোরে সোরে।
জাইলা পারায় কথা হয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে। নাফ নদীর তীরে গড়ে ওঠা এই বসতির মানুষের কেউ কেউ ঘূর্ণিঝড়ের পর সরকারি খাদ্য আর নগদ সাড়ে চার হাজার টাকার অর্থ সহায়তা পেয়েছেন। আবার কেউ পাননি কিছুই। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা হওয়ার কারণে এই পাড়ায় সুপেয় পানির অভাব বহুদিন ধরেই। সরকারি যেসকল গভীর নলকূপ রয়েছে সেসব নলকূপের পানি এলাকার মধ্যে লাইনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু পানির স্বল্পতার কারণে পাড়ার ভেতরের দিককার বাসিন্দাদের কাছ পর্যন্ত সেই পানি পৌঁছায় না। পানি সংগ্রহের জন্য কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। এছাড়া রান্না কিংবা গোসলের জন্যেও নেই পর্যাপ্ত ব্যবহারযোগ্য পানি।
জেলে পাড়ার এই বাসিন্দারা মাছ ধরা ছাড়া আর কোন কাজই করতে পারেন না। তাই অন্যত্র গিয়েও সুবিধা করার সুযোগ নেই তাদের। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জায়গা দেয়ার পড় থেকেই নাফ নদীতে মাছ শিকার করা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন এই পাড়ার বাসিন্দারা। ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত এই জেইলা পাড়ার মানুষেরা কোন সরকারি সাহায্য সহযোগিতা চান না, তাদের দাবি, নাফ নদীতে পুনরায় মাছ শিকার করতে দিলে তারা নিজেরাই নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলতে পারবেন, ক্ষতি কাটিয়ে ফিরতে পারবেন স্বচ্ছল জীবনে।