তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়া হিসেবে অর্থনীতিতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
মূল্যবৃদ্ধির পেছনে বিশ্ব বাজারে তেলের মূল্য, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন- বিপিসি'র লোকসান এবং পাচার হওয়ার আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম এখন নিম্নমূখী। এমনকি করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য অস্বাভাবিক হারে কমলেও বাংলাদেশে তেলের দাম কমানো হয়নি।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে সরকারের অদূরদর্শী জ্বালানি নীতি, দুর্নীতি ও অস্বাভাবিক অপরিকল্পিত উন্নয়ন ব্যয়কে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদের মতে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পেছনে যাদের দায় রয়েছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা উচিৎ। ২০১০ সালে প্রণীত বিদ্যুৎ-জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ আইনের ক্ষমতাবলে জ্বালানি সম্পর্কিত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ারও সুযোগ নেই বলেও জানান তারা।