ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন- ডিএসএ থেকে রেহাই পায়নি দেশের শিশু-কিশোররাও। সারাদেশে অন্তত ৬৮ জন শিশু-কিশোরের বিরুদ্ধে প্রায় ৩৪টি মামলা দায়ের করার তথ্য জানা গেছে। দেশের সংবাদমাধ্যম থেকে ডিএসএ মামলার তথ্য সংগ্রহ করে গত ৩ বছরের হিসাব প্রকাশ করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দৃক। এদিকে প্রায় সাড়ে ৪ বছর ধরেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেহয়রানির অভিযোগ চলমান। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহলের বিরোধিতার মাঝেই তড়িঘড়ি করে ২০১৮ সালের ১৯ শে সেপ্টেম্বর সংসদে পাস হয় ডিএসএ। আইনজীবীদের মতে, ১৩ থেকে ১৭ বছরের অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিরুদ্ধে ডিএসএ প্রয়োগের ফলে শিশু আইনের ব্যত্যয় ঘটছে এবং এক্ষেত্রে বিচারব্যবস্থাও পুরোপুরি প্রশ্নবিদ্ধ।
ভিন্নমত দমন ও হয়রানি বা নিপীড়নের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে ডিএসএ। এনিয়ে সরকার বা ক্ষমতাসীন দলের বাইরে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সচেতন মহলে কোনো দ্বিমত নেই। তবে বাকস্বাধীনতা ও নিরাপত্তাহীনতার মতো বিষয় বুঝতে না পারা শিশু-কিশোররাও কেন এবং কীভাবে ডিএসএ মামলায় শাস্তি ভোগ করছে?
আইনজীবীদের মতে, ১৩ থেকে ১৭ বছরের অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিরুদ্ধে ডিএসএ প্রয়োগের ফলে শিশু আইনের ব্যত্যয় ঘটছে এবং এক্ষেত্রে বিচারব্যবস্থাও পুরোপুরি প্রশ্নবিদ্ধ। এই বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে বারবার যোগাযোগ করা হয়। তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা প্রসঙ্গ শুনেই তা এড়িয়ে গেছেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা।
দৃকের গবেষণা বিভাগের হিসেবে গত ৩ বছরে লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক কর্মীসহ প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষ ডিএসএ মামলার শিকার হয়েছেন।