প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস গ্রেফতার হবার পর চুয়াত্তরের বাসন্তী সম্প্রতি আবারও আলোচনায় এসেেছন। " আমাগো মাছ মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব," দিনমজুর জাকিরের ভাষ্যে এমন একটি প্রতিবেদন করার পর তিনি ডিজিটিাল সিকিউরিটি মামলার শিকার হয়েছেন, পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমানও একই মামলার আসামী।
কিন্তু কে এই বাসন্তী? কেন তাকে নিয়ে এত আলোচনা? কেন এই ২০২৩ সালেও গরিব মানুষের পেটের ক্ষুধা নিয়ে করা একটি প্রতিবেদনের জন্য প্রায় ৫০ বছর আগে বাসন্তীকে নিয়ে করা একটি প্রতিবেদনের কথা ঘুরে ফিরে আসে? আসুন, জানা যাক, বাসন্তী বালা কে, কেন তার কথা ফিরে ফিরে আসে। ১৯৭৪ সালে বাসন্তী রানী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে পরিণত হয়েছিলেন দুর্গত জীবনের প্রতীকে। বিখ্যাত আলোকচিত্রী আফতাব আহমেদ [আফতাব আহমেদ, ইত্তেফাক] তার ছবি ইত্তেফাকে প্রকাশ করবার পর দেশ জুড়ে আলোড়ন তৈরি হয়।
সে বছরের বন্যায় বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গের জনপদ প্লাবিত হয়েছিল, অজস্র বানভাসি মানুষ খাদ্যহীন, রসদহীন মানবেতন জীবন যাপনে বাধ্য হয়েছিলেন। এই বন্যাই মাস দুয়েক বাদে দেশ জুড়ে তৈরি হওয়া খাদ্য সংকটে বড় ভূমিকা রেখেছিল, নেমে এসেছিল চুয়াত্তরের এর সেই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। আজকে আবার যখন খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে, শোনা যাচ্ছে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার কথা, তখন কেমন আছেন সেই মানুষগুলো, জানতে দৃকনিউজের পক্ষ থেকে দুবার আমরা গিয়েছিলাম বাসন্তীর বসতভিটায়, এই নভেম্বর মাসেই।