শিক্ষার্থীরা মামলার ঘানি টানলেও বিচার হয়নি হেলমেট বাহিনীর। নিরাপদ সড়কের দাবিতে- ২০১৮ সালের কিশোর বিদ্রোহের চার বছরেও, হয়রানিমূলক মামলা থেকে নিস্তার পান নি শিক্ষার্থীরা।
বছরের পর বছর বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছেন শত শত শিক্ষার্থী। তবে সেসময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের গণমাধ্যম শনাক্ত করলেও তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হয়নি। এই আন্দোলনে যারা নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তাদের মতে, হামলাকারীদের বিচার না করে উল্টো শিক্ষার্থী ও প্রতিবাদীদের হয়রানির কারণ ক্ষমতার রাজনীতি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা কিশোর বিদ্রোহের ৪ বছর পূর্তিতে দৃকনিউজ প্রতিবেদন।
গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নামে সারাদেশে প্রায় ৫২টি মামলা এবং শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতারের পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা প্রায় ৫শ’ জনকে আসামী করা হয়। ৪ বছর আগে নিপীড়নের শিকার হওয়া বহু শিক্ষার্থী আজও সেই ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন।
নিরাপদ সড়ক চাই- দাবি করে অনেক শিক্ষার্থী হামলা ও মামলার শিকার হলেও হামলাকারীরা আজও ধরা ছোঁয়ার বাইরে। গণমাধ্যমে হামলাকারী হিসেবে রুবেল হোসেন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীর পরিচয় প্রকাশিত হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ফাহাদ, সোহান রহমান ও ইব্রাহীম নামে আরও তিনজন ছাত্রলীগের কর্মীকে হামলাকারী হিসেবে শনাক্ত করে ছবি প্রকাশ করেন। চার বছর কেটে গেলেও কোনো হামলাকারীকে আটকের ঘটনা জানা যায়নি।
নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে দেখিয়েছিলে কী উপায়ে সড়কে নৈরাজ্য থামিয়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। শিক্ষার্থীদের সেসব দাবি মেনে না চলে উল্টো তাদের ওপর নিপীড়ন চলমান রেখেছে রাষ্ট্র ও সরকার। সড়ক নিরাপদ করার কোনো কার্যকরী উদ্যোগ না নেওয়ায়- বিভিন্ন গবেষণার তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালের আন্দোলনের পর থেকে এ পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
দুই কলেজ শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আব্দুল করিম রাজীব বাস চাপায় নিহত হওয়ার পর রাজধানীর উত্তরায় বিচারের দাবিতে রাজপথে অবস্থান নেন বন্ধু ও সহপাঠীরা। এরপর এই আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীর সাইন্সল্যাব, ধানমণ্ডি, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায়। একে একে সারাদেশের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও নিরাপদ সড়কের দাবিতে গর্জে ওঠে।