রাজধানী ঢাকার গৃহস্থালী আবর্জনা যারা সংগ্রহ করেন এদের বেশিরভাগই শিশু-কিশোর। এই ব্যবস্থাপনায় ‘ভয়াবহ নিপীড়নমূলক শিশুশ্রম’ এর চিত্র উঠে এসেছে দৃকনিউজ এর অনুসন্ধানে। ময়লা অপসারনের প্রধান দায়িত্ব ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের। তবে জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা- জাইকার সাথে সমন্বিতভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করছে বলে জানিয়েছে দুই করপোরেশন।
অনুসন্ধান বলছে, এই কাজে যুক্ত আছে প্রায় ৭০ ভাগ শিশু-কিশোর। আবর্জনা সংগ্রহ, পরিবহন, বাছাই ও প্রক্রিয়াজাতকরণে কাজ করে শিশু-কিশোররা। ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজের ফলে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা।
২০০০ সাল থেকে ঢাকা সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে জাইকা। ২০১৮-২০৩২ সাল পর্যন্ত ‘ক্লিন ঢাকা মাস্টার প্ল্যান’ নামে জাইকা ও দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ‘মহাপরিকল্পনা’ নেয়া হয়েছে। তবে দৃকনিউজ জাইকার মহাপরিকল্পনাতে শিশুশ্রম নিয়ে ভাবনা কিংবা শ্রম পরিবেশকে মানবিক করার কোন উদ্যোগ দেখতে পায়নি। সংস্থাটির ফেইসবুক পেইজে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চিত্রগুলোতেও শিশুশ্রমের দৃশ্য দেখা যায় না।
শিশু অধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাইকার মত সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুসরণ করার কথা। কোন ধরনের কাজে শিশুদের যুক্ত করা হলে তাদের শিক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়টিও বিবেচনায় থাকা উচিৎ। তাদের মতে, এক্ষেত্রে কারও দায়মুক্তির সুযোগ নেই।
এই বিষয়ে জাইকার অবস্থান জানতে চেয়ে ইমেইলে বার্তা পাঠালেও কোন জবাব আসেনি। সংস্থাটির কার্যালয়ে গিয়েও দৃকনিউজ কোনো সদুত্তর পায়নি।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মহাপরিকল্পনায় শিশুদের প্রসঙ্গ না থাকা, দুঃখজনক ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব।